Friday, November 5, 2021

বোস্টন টি পার্টি, ১৭৭৩

 বোস্টন টি পার্টি, ১৭৭৩

নামটি বোস্টন টি পার্টি হলেও এটি কোনো উৎসব বা পার্টি ছিল না, এটি একটি আন্দোলন যেটির দাবানল আমেরিকার স্বাধীনতার সূচনা করে। সংঘটনের বছর ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দ। তখনো আমেরিকার অঙ্গরাজ্যগুলো পুরোপুরি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক। আমেরিকায় চায়ের চাহিদা ছিল তখন ব্যাপক। এমন বিশাল বাজারে ব্রিটিশদের কর্তৃত্ব আরো বেড়ে যায় যখন ব্রিটিশ আইনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বিশ্বব্যাপী শুল্কমুক্ত চা বাণিজ্য করার একচেটিয়া অধিকার দেওয়া হয়। আবার যখন আমেরিকার চা-ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে চা কিনতে চাইত তখন ঠিকই কর প্রদান করতে হতো। কিন্তু আমেরিকান চা-ব্যবসায়ীরা এই কর দিতে নারাজ ছিল এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বর্জন করে।

কর আরোপের প্রতিবাদে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চা নদীতে ফেলে দিচ্ছে আমেরিকানরা; Image Source: All things liberty

ব্রিটিশ বণিকদের বর্জন করা সত্ত্বেও কর আদায় করতে চা বোঝাই করা ব্রিটিশ জাহাজগুলো বোস্টন বন্দরে ভিড়তে থাকে। এর প্রতিবাদে আমেরিকার চা ব্যবসায়ীরা গোপনে তিনটি ব্রিটিশ জাহাজে উঠে প্রায় ৪৫ টন চা নদীতে ফেলে দেয়। এই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল নিউইয়র্ক পর্যন্ত। বোস্টন টি পার্টির চার বছর পর আমেরিকা তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মূলত এমন অপ্রচলিত প্রতিবাদই আমেরিকায় স্বাধীনতার সূচনা করে। 

Source:  https://roar.media/bangla

Tuesday, October 23, 2012

রেসিপিঃ আদা, পুদিনা ও লেবু চা (রং চা)

রেসিপিঃ আদা, পুদিনা ও লেবু চা (রং চা)

চা নিয়ে আমার অনেক অনেক গবেষনা আছে। আমি চা প্রেমিক। দিনে দুইতিন বার (আগে বহু বার চলত, এখন চালাই না) চা না হলে আমার চলেই না! সকালে বাসা থেকে চা পান করে বের হয়ে আবার রাস্তায় নেমেই চা চলত, এখন বাদ দিয়েছি। তবে অফিস থেকে নেমে কোথায়ও যেতে এখনো মাঝে মাঝে রাস্তার ধারের চা পান করি। আপনারাও নিশ্চয় রাস্তার ধারের চা পান করেছেন! বাঙ্গালী বটে, রাস্তার ধারের চা না পান করলে আপনাকে নিশ্চিত বাঙ্গালী বলা যাবে না। আজকাল অবশ্য বাঙ্গালী মেয়েরাও রাস্তার ধারের চা পান করছেন বলে অনেক বার দেখেছি।
সে যাই হোক, আজ আপনাদের রাস্তার ধারের একটা চমৎকার চা এর রেসিপি দেখিয়ে দেব। যারা একটু ইনোভেটিব আছেন, তারা এমন চা রাস্তার ধারে না পেলেও বাসায় বানিয়ে দেখতে পারেন। খুব সহজ কাজ। এই চা সবাই রাস্তার ধারে বিক্রয় করেন না, কারন পথের ধারের সবাই প্রায় ঠকবাজী করে ব্যবসা করতে চান (জাতীয় চরিত্র হয়ে পড়ছে)!
আজকের এই চা বিক্রেতাকে আমি অনেকদিন ধরেই চিনি, তিনি মাত্র ৫ টাকায় (দুধ চার দামও একই) এই চা বিক্রয় করেন। কোন ফাঁকি দেন না। তার এই চা, অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। আমিও তার জন্য দোয়া করি। এই চা পান করে মানুষ যে হারে পান, সিগারেট টানেন তাতে অবশ্য আমি আবার হতাশ হয়ে যাই, কন্সার নিশ্চিত! যাই হোক, শুধু এমন চা পান করলে, শরীর ও মন দুটোই ভাল থাকবে।
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
(পরিমান আপনি কাপের সাইজ বা কত কাপ বানাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে)
- চা পাতা (লিকার কড়া হলে ভাল)
- আদা কুচি
- পুদিনা পাতা
- লেবু কুচি
- চিনি (চিনি কম ব্যবহার ভাল)
- চরম গরম পানি
প্রণালীঃ

কাপ নিয়ে তাতে পরিমান মত চিনি, আদা কুচি, পুদিনা এবং লেবু কুচি দিয়ে হাফ কাপ চরম গরম পানি দিয়ে সামান্য কিছুক্ষন রাখা হয় (দুই তিন মিনিট তো হবেই, তাড়া না থাকলে আরো কিছুক্ষন রাখলে আরো স্বাদ বের হবে)।

এবার চা পাতা থেকে বানানো কড়া লিকার নিয়ে হাফ কাপ দেয়া হয় এবং চামচ দিয়ে এবার কড়া একটা ঘুর্নি (ভাল শব্দ পাচ্ছি না) দেয়া হয়, ভাল করে মিশানো যাকে বলে।

ব্যস আদা, পুদিনা ও লেবু চা প্রস্তুত। ফু দিয়ে মুখে হুস করে চুমুক দিয়ে দেখুন।
জীবনে অনেক চা খেয়েছেন, এমন চা খেলে আমি নিশ্চিত ভুলতে পারবেন না। আর মাঝে মাঝে মুখে যাবে আদা কুচি (চিবান), পুদিনা পাতা (চিবান), লেবু কুচি (চিবান)। আহ…।
* চা দোকানী তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, তাই তার নাম ও লোকেশন প্রকাশ করা হল না।

Source http://udrajirannaghor.wordpress.com

Saturday, October 20, 2012

মশলাদার চা

মশলাদার চা

লিখেছেনঃ সাহাদাত উদরাজী (তারিখঃ ১১ ডিসেম্বর ২০১১, ১১:০৭ অপরাহ্ন)
চতুরে আমি রেসিপি পোষ্ট দিয়ে ভাল পরিচিতি পেয়ে গেছি। ফেইসবুকীয় এক আড্ডায় আমি তা টের পেয়েছি। ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে না চিনলেও আমার পোষ্ট তারা দেখেন এবং অনেক গুলো রেসিপি পোষ্ট কাজে লেগেছে বলে আমাকে জানালেন। এই খুশির কথা কাকে বলি! আপনাদের না বলে আর যাই কোথায়? চতুরেই আমার রেসিপি পোষ্ট জারি থাকবে (আমার সব রেসিপি পোষ্ট চতুরেই প্রথম প্রকাশিত হয়, আমি অবশ্য এই পোষ্ট গুলো নিয়ে একটা জায়গায় জমা করছি এবং দেখছি), যতদিন চতুররা আমাকে ভালবাসবে! আমিও আপনাদের ভীষন ভালবাসি কারন আপনারা আমাকে সহ্য করেছেন বলেই, আমি স্থান পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
কিছুদিন আগে আমি চা বানানো নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। রেসিপিঃ গরম চা নাকি চা গরম । এই পোষ্টের হিট সংখ্যা দেখে আমি আবেগে আপ্লূত। এখন পর্যন্ত হিট সংখ্যা ৩৬৪! চতুরে একমাত্র আইপি থেকে হিট থেকে হয় বলে এটা ইউনিক হিট। এত কম্পিউটার কম নয়! যাই হোক, এই পোষ্ট দেখে মনে হয়, চা সবার প্রিয় একটা আইটেম। ব্লগিং করেন অথচ চা পান করেন না এমন ব্লগার পাওয়া মুশকিল। তাই আজ নিয়ে এসেছি মশলাদার চা। আসা করি আপনাদের ভাল লাগবে। পাশাপাশি আজ রাতে আড্ডাও দেয়া যাবে! আমি আছি সারারাত। হা হা হা।।।
চা শুধু চা নয় এটা একটা ভালবাসার প্রতীকও বটে। আমরা বন্ধুদের দেখা হলে বলি, চল চা পান করি। রাস্তায় কিংবা কোন জায়গায়/হোটেলে চা পান করে আড্ডা মারার মজাই আলাদা। এবার বন্ধুদের কথা ভুলে যান, আপনি বিবাহিত। আপনার স্ত্রী আজ সারা দিন ঘরের কাজ কর্ম করে ভীষন ক্লান্ত! একসাথে টিভি দেখছিলেন, আপনাদের আর কথা এগুচ্ছে না! সব কথা হারিয়ে ফেলছেন! আপনি উঠে রান্না ঘরে গেলেন, দুই এককাপ চা বানিয়ে নিয়ে এসে আপনার স্ত্রীকে বললেন, ডার্লিং এই নাও! আপনার স্ত্রী পাজাকোলে শুয়েছিলেন, তিনি হাত বাড়িয়ে আপনার দেয়া চা নিলেন। মিষ্টি হাসি মুখে বললেন, থ্যাংকস ডিয়ার।

একবার ভেবে দেখুন দৃশ্যটা! (বেশ খুশি হবেন আপনার প্রিয়তমা নিঃসন্দেহে) সারাজীবন তো কাটিয়েই দিচ্ছেন, একটা রাত না হয় কাটান মনের আনন্দে! হাসি মুখে! আহ, চা চুমুক দিয়ে আপনার স্ত্রী বললেন, কি করে এমন চা বানাতে পারলে! বেশ রোমান্টিক চা হয়েছে! বেশ সুন্দর ঘ্রান। খুশবু বেশ লাগছে। আসলে এই চা তেমন কিছু নয় শুধু সামান্য মশলা যোগ দিয়েই এমন চা বানানো যেতে পারে এবং একটু সময় বেশি লাগবে মাত্র! চলুন দেখে ফেলি। মশলা চা।

রান্নাঘরে এই সব পাবেনই/কি কি লাগবেঃ
- চিনি
- চা পাতা
- দুধ
- পানি
- দারুচিনি
- এলাচি
(অনেকে আরো নানা মশলা দিতে পারেন যে মশলা গুলো ঘ্রান ছাড়াবে, কিন্তু যদি না থাকে দরকার নেই)
এবং কিছু ভালবাসা।

প্রথমে কাপ মেপে পানি নিন। যত কাপ বানাবেন তত কাপ পানি নিয়ে প্রতি দুইকাপের জন্য আরো হাপ কাপ পানি বেশী দেবেন (এটা বাষ্প হয়ে উঠে যাবে, এটা ধরে নিতে হবে), দুই চামচ পাউডার দুধ দিন, চিনি দিন (চিনি দিতে সাবধান, যেন বেশি না হয়, কম হলে দেখে পরে দেয়া যাবে) এবং তাতে তিনটে এলাচি ও এক ইঞ্চি দারুচিনি দিন এবং চুলায় বসিয়ে দিন।

ভাল করে নেড়ে কয়েক বার আঁচ উঠান এবং চুলা নিবিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন।

আবার চুলা জ্বালুন। ঢাকনা সরিয়ে চা পাতা দিন (চা পাতা ধীরে ধীরে দেবেন, রংটা নিজে দেখে শুনে, চা পাতা/চিনির পরিমাপ বলা কঠিন এজন্য যে, কোন লটে কি পাবেন তা আপনি বুঝতে পারবেন না)

রং ঠিক মত হলে আবার চামচ দিয়ে চিনি দেখে নিন। হলে ‘ওকে’ না হলে দিন। এবার চুলা বন্ধ করে আবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট দশ ঢেকে রাখুন। ভাল করে রং দেখুন, রং বের না হলে, লাগলে আরো ফুটাতে পারেন।

চাকুনী দিয়ে ছেঁকে কাপে ঢালুন। ব্যস রেড়ী! সোজা নিয়ে চলুন। বাকী সারারাত শুধু আপনার!

Source http://udrajirannaghor.wordpress.com

Thursday, October 18, 2012

গরম গরম চা

গরম গরম চা

আমার স্ত্রী যখন আমার বানানো চা খেয়ে প্রশংসা করে তখন স্বীকার করতেই হয়! আমার হাতে বেশী সময় নাই, চলুন ছবি দেখে ফেলি। আমার পছন্দ দুধ চা।

চা বানাতে লাগে পানি, দুধ, চা, চিনি।

আগে সিদান্ত নিতে হবে আপনি কয় জনের জন্য কিংবা কয় কাপ চা বানাছেন।

পরিমান* মত পানিতে (দুইকাপ হলে সে পরিমান মত) পরিমান মত দুধ ও চিনি দিন।

তার পর ভাল করে গরম/ফুটিয়ে নিন এবং পরিমান মত চাপাতা দিন।রং মনের মত হল কিনা দেখে নিন।

অনেকে আগে চা পাতা দিয়ে রং চা বানিয়ে নিতে পারেন। তার পর দুধ দিতে পারেন।আপনার ইচ্ছা! আমি দুইভাবেই বানাই! যখন সেটা ইচ্ছা।

চা বানিয়ে কিছু ক্ষন ডাকনা দিয়ে ডেকে রাখুন। রং দেখুন এবং চাকুনী দিয়ে ছ্যাঁকে কাপে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করুন। ব্যস, হয়ে গেল চা।
* এবার একটু ব্যাখ্যায় আসি। পরিমান শব্দটা নিয়ে কছু কথা বলতেই হয়। চা বিস্বাদ হবার কারন হচ্ছে পরিমান। পরিমানে উল্টা পাল্টা হলেই এই চা আর মুখে দেয়া যায় না। যারা ভাল চা বানায় তারা এই পরিমাণটাই ভাল করে লক্ষ্য রাখে এবং কম বেশী হতে দেয় না। কয় কাপ চায়ের জন্য কত চামছ চিনি, কত টুকু চা পাতা, কত দুধ দিতে হবে তা একজন ভাল চা বানিয়ে বুঝতে পারেন। আর এই জন্য প্রথমেই চা বানাতে গিয়ে যে কাপে চা পরিবেশন করা হবে তা দিয়ে মেপে মেপে পানি নিয়ে শুরু করেন চা বানানো। (পানি গরম করলে কিছুটা উড়ে বাস্প হয়ে যায় বলে সেটাও তিনি মাথায় রাখেন এবং সেটার পরিমাণও নিয়ে নেন।)
একবার সতর্ক হয়ে নিজে চা বানিয়ে পরখ করে দেখুন, কত সহজ এবং আপনার পাশে থাকা কোন বন্ধু কিংবা প্রিয়জনকে পান করান। দেখুন তারিফ কেমন লাগে।
সতর্কতাঃ চা বানাতে রান্নাঘর ছেড়ে যাবেন না। গরম দুধ কিংবা চা ফুসে উঠে দুধ কিংবা চা পড়ে যেতে পারে। এতে আপনার কাজ আরো বেড়ে যাবে!

Source http://udrajirannaghor.wordpress.com

Wednesday, October 17, 2012

খাবার খাওয়ার ঠিক পরে কেন চা/কফি পান করবেন না?

খাবার খাওয়ার ঠিক পরে কেন চা/কফি পান করবেন না?

 

 

সাধারণত: আমরা সকালের নাস্তা অথবা দুপুরের খাবারের পরে পরেই চা/কফি পান করি| এটা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস | কারণ চা, কফি পান করার অনেক উপকারিতা আছে| কিন্তু এই অভ্যাস মূলত স্বাস্থ্যসম্মত নয়| অর্থাত, সঠিক সময়ে বা উপায়ে চা না পান করলে এগুলোর side effect বা কুফল ভোগ করতে হবে| আপনি যেরকম চাই (লাল চা, সবুজ চা ইত্যাদি ) পান করুন না কেন, তা চা পান করার উপকারিতার পাবার পাশাপাশি শরীর অন্য খাবার গুলো থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় এবং হজম হতে বাঁধা পায়|ফলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া বাধা গ্রস্ত হয় ও শরীর অপুষ্টির শিকার হতে পারে|খাবার খাওয়ার আগে চা পান করালেও খাবার হজমে বাধা গ্রস্ত হয়, খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় না|
কেন খাবার খাওয়ার সাথে সাথে চা পান করবেন না?
চা খাবার থেকে iron শোষণ করে|কারণ চা/ কফি তে আছে polyphenols এবং tannin নামক উপাদান যা iron শোষণ করে বা tanin এর সাথে iron মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়| ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় iron/mineral এর অভাব হয়ে anemia বা রক্তশুন্যতা হতে পারে|
চা শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে, ফলে বেরিবেরি হতে পারে|
চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শোষণ করে এবং তারপর শরীর এই খাবারগুলোকে হজম করতে পারে না|
চাতে acidum tannicums এবং theophylines নামক উপাদান থাকে, যেগুলো পাকস্থলীর ও intestine এর acid বা juice পাতলা করে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে|
কখন চা/ কফি পান করবেন?
তাহলে কি চা পান করা বাদ দিবেন? অবশ্যই না| কারণ চা/কফি পান করার অনেক ভালো দিক আছে| তাই চা পান করবেন খাবার খাওয়ার অন্তত: আধা ঘন্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পরে| খাবার গুলোকে শরীর ঠিক মত হজম প্রক্রিয়া শেষ করে পুষ্টি উপাদান গুলো পাওয়ার পরে চা পান করা উচিত|
সকালের, দুপুর বা রাতের খাবারের ১-২ ঘন্টা পরে চা/কফি পান করলে ভালো|
যাদের রক্তশূন্যতা আছে, কম বয়স্ক মেয়েরা বা যেসব মহিলারা বৃদ্ধ নয়, তারা এই সতর্কতা বিশেষ ভাবে অবলম্বন করা উচিত|
যাদের হজমে ও acidityর সমস্যা আছে, তাদেরও এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত|
 

Source http://www.amarblog.com

Tuesday, October 16, 2012

সুস্থ থাকতে, সবুজ চা পান করুন,

সুস্থ থাকতে, সবুজ চা পান করুন

স্বাস্থ্য ডেস্ক : প্রায় ৪০০০ বছর আগে থেকেই চীনে ওষধ হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে সবুজ চা বা গ্রিন টি। সময়ের পরিবর্তনে গ্রিন টির ব্যবহার চীনের বাইরে পুরো বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে।গবেষকরা গ্রিন টি’র মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন অনেক রোগের নিরাময় গুণ। নিয়মিত সবুজ চা পান করলে, ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
আমাদের শরীরের জন্য সবুজ চা পানের উপকারিতা:
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি কমায়
রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়
সবুজ চা ভাইরাসজনিত ফ্লু রোধ করে বা দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে
বার্ধক্য রোধ করে শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে
ইনফেকশান কার্যকর হওয়ার ঝুকি কমায়
কিডনি রোগের জন্য উপকারি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর
দাঁতক্ষয় এবং পেটের রোগ সারাতে গ্রিন টি কাজ করে।
নিয়মিত পরিমিত সবুজ চা পান করুন। অনাকাংক্ষিত অনেক রোগের ঝুঁকি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন।
(ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত)

 

Saturday, September 22, 2012

লেবুর ঠান্ডা চা

লেবুর ঠান্ডা চা

 

শরীর ও মন সতেজ রাখতে চায়ের কোনো বিকল্প নেই। কাজে মন বসাতেও চা ভালো কাজ করে। চায়ের স্বাদ নিতে বিভিন্ন ধরনের চা ঘরেই তৈরি করতে পারেন। ঘরে তৈরি চায়ে আনতে পারেন বৈচিত্র। চা তৈরির পদ্ধতি দিয়েছেন রোকেয়া হক
উপকরণ
  • চায়ের ঘন লিকার ১ কাপ
  • লেবুর রস সিকি কাপ
  • ঠান্ডা পানি ১ জগ
  • লেবুর চাকতি ৬ টুকরো
  • চিনি পছন্দমতো
  • বরফকুচি প্রতি গ্লাসে ২ টেবিল-চামচ
  • লবণ আধা চামচ
প্রণালি
চায়ের লিকার, ঠান্ডা পানি, লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। প্রতি গ্লাসে বরফকুচি দিয়ে গ্লাসের কোনায় লেবুর চাকতি বসিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

সৌজন্যে -প্রথম আলো