মশলাদার চা
লিখেছেনঃ সাহাদাত উদরাজী (তারিখঃ ১১ ডিসেম্বর ২০১১, ১১:০৭ অপরাহ্ন)
চতুরে আমি রেসিপি পোষ্ট দিয়ে ভাল পরিচিতি পেয়ে গেছি। ফেইসবুকীয় এক
আড্ডায় আমি তা টের পেয়েছি। ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে না চিনলেও আমার পোষ্ট তারা
দেখেন এবং অনেক গুলো রেসিপি পোষ্ট কাজে লেগেছে বলে আমাকে জানালেন। এই
খুশির কথা কাকে বলি! আপনাদের না বলে আর যাই কোথায়? চতুরেই আমার রেসিপি
পোষ্ট জারি থাকবে (আমার সব রেসিপি পোষ্ট চতুরেই প্রথম প্রকাশিত হয়, আমি
অবশ্য এই পোষ্ট গুলো নিয়ে একটা জায়গায় জমা করছি এবং দেখছি), যতদিন চতুররা
আমাকে ভালবাসবে! আমিও আপনাদের ভীষন ভালবাসি কারন আপনারা আমাকে সহ্য করেছেন
বলেই, আমি স্থান পেয়েছি। সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
কিছুদিন আগে আমি চা বানানো নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। রেসিপিঃ গরম চা নাকি চা গরম
। এই পোষ্টের হিট সংখ্যা দেখে আমি আবেগে আপ্লূত। এখন পর্যন্ত হিট সংখ্যা
৩৬৪! চতুরে একমাত্র আইপি থেকে হিট থেকে হয় বলে এটা ইউনিক হিট। এত কম্পিউটার
কম নয়! যাই হোক, এই পোষ্ট দেখে মনে হয়, চা সবার প্রিয় একটা আইটেম। ব্লগিং
করেন অথচ চা পান করেন না এমন ব্লগার পাওয়া মুশকিল। তাই আজ নিয়ে এসেছি
মশলাদার চা। আসা করি আপনাদের ভাল লাগবে। পাশাপাশি আজ রাতে আড্ডাও দেয়া
যাবে! আমি আছি সারারাত। হা হা হা।।।
চা শুধু চা নয় এটা একটা ভালবাসার প্রতীকও বটে। আমরা বন্ধুদের দেখা হলে
বলি, চল চা পান করি। রাস্তায় কিংবা কোন জায়গায়/হোটেলে চা পান করে আড্ডা
মারার মজাই আলাদা। এবার বন্ধুদের কথা ভুলে যান, আপনি বিবাহিত। আপনার স্ত্রী
আজ সারা দিন ঘরের কাজ কর্ম করে ভীষন ক্লান্ত! একসাথে টিভি দেখছিলেন,
আপনাদের আর কথা এগুচ্ছে না! সব কথা হারিয়ে ফেলছেন! আপনি উঠে রান্না ঘরে
গেলেন, দুই এককাপ চা বানিয়ে নিয়ে এসে আপনার স্ত্রীকে বললেন, ডার্লিং এই
নাও! আপনার স্ত্রী পাজাকোলে শুয়েছিলেন, তিনি হাত বাড়িয়ে আপনার দেয়া চা
নিলেন। মিষ্টি হাসি মুখে বললেন, থ্যাংকস ডিয়ার।
একবার ভেবে দেখুন দৃশ্যটা! (বেশ খুশি হবেন আপনার প্রিয়তমা নিঃসন্দেহে) সারাজীবন তো কাটিয়েই দিচ্ছেন, একটা রাত না হয় কাটান মনের আনন্দে! হাসি মুখে! আহ, চা চুমুক দিয়ে আপনার স্ত্রী বললেন, কি করে এমন চা বানাতে পারলে! বেশ রোমান্টিক চা হয়েছে! বেশ সুন্দর ঘ্রান। খুশবু বেশ লাগছে। আসলে এই চা তেমন কিছু নয় শুধু সামান্য মশলা যোগ দিয়েই এমন চা বানানো যেতে পারে এবং একটু সময় বেশি লাগবে মাত্র! চলুন দেখে ফেলি। মশলা চা।
একবার ভেবে দেখুন দৃশ্যটা! (বেশ খুশি হবেন আপনার প্রিয়তমা নিঃসন্দেহে) সারাজীবন তো কাটিয়েই দিচ্ছেন, একটা রাত না হয় কাটান মনের আনন্দে! হাসি মুখে! আহ, চা চুমুক দিয়ে আপনার স্ত্রী বললেন, কি করে এমন চা বানাতে পারলে! বেশ রোমান্টিক চা হয়েছে! বেশ সুন্দর ঘ্রান। খুশবু বেশ লাগছে। আসলে এই চা তেমন কিছু নয় শুধু সামান্য মশলা যোগ দিয়েই এমন চা বানানো যেতে পারে এবং একটু সময় বেশি লাগবে মাত্র! চলুন দেখে ফেলি। মশলা চা।
রান্নাঘরে এই সব পাবেনই/কি কি লাগবেঃ
- চিনি
- চা পাতা
- দুধ
- পানি
- দারুচিনি
- এলাচি
(অনেকে আরো নানা মশলা দিতে পারেন যে মশলা গুলো ঘ্রান ছাড়াবে, কিন্তু যদি না থাকে দরকার নেই)
এবং কিছু ভালবাসা।
প্রথমে কাপ মেপে পানি নিন। যত কাপ বানাবেন তত কাপ পানি নিয়ে প্রতি দুইকাপের জন্য আরো হাপ কাপ পানি বেশী দেবেন (এটা বাষ্প হয়ে উঠে যাবে, এটা ধরে নিতে হবে), দুই চামচ পাউডার দুধ দিন, চিনি দিন (চিনি দিতে সাবধান, যেন বেশি না হয়, কম হলে দেখে পরে দেয়া যাবে) এবং তাতে তিনটে এলাচি ও এক ইঞ্চি দারুচিনি দিন এবং চুলায় বসিয়ে দিন।
ভাল করে নেড়ে কয়েক বার আঁচ উঠান এবং চুলা নিবিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
আবার চুলা জ্বালুন। ঢাকনা সরিয়ে চা পাতা দিন (চা পাতা ধীরে ধীরে দেবেন, রংটা নিজে দেখে শুনে, চা পাতা/চিনির পরিমাপ বলা কঠিন এজন্য যে, কোন লটে কি পাবেন তা আপনি বুঝতে পারবেন না)
রং ঠিক মত হলে আবার চামচ দিয়ে চিনি দেখে নিন। হলে ‘ওকে’ না হলে দিন। এবার চুলা বন্ধ করে আবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট দশ ঢেকে রাখুন। ভাল করে রং দেখুন, রং বের না হলে, লাগলে আরো ফুটাতে পারেন।
চাকুনী দিয়ে ছেঁকে কাপে ঢালুন। ব্যস রেড়ী! সোজা নিয়ে চলুন। বাকী সারারাত শুধু আপনার!
No comments:
Post a Comment